Nutritional benefits of Malabar spinach
পুঁইশাক (Malabar Spinach) হলো এক ধরনের পাতা শাক, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশে প্রচলিত। এটি শুধুমাত্র সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। নিচে পুঁইশাক খাওয়ার ৩০টি উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো:
পুঁইশাক খাওয়ার উপকারিতা:
১) ভিটামিন এ-এর উচ্চ উৎস: পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে, যা চোখের জন্য ভালো এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
২) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করতে সাহায্য করে, যা বার্ধক্য ও ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৩) আয়রন সমৃদ্ধ: রক্তস্বল্পতা দূর করতে এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪) হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমের জন্য ভালো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫) চাপ ও উদ্বেগ কমায়: এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৬) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: পুঁইশাক খাওয়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
৭) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৮) হার্টের জন্য ভালো: পুঁইশাক রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৯) ত্বকের যত্নে সাহায্য করে: ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
১০) ওজন কমাতে সহায়ক: এতে ক্যালোরি কম থাকায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
১১) হাড় শক্তিশালী করে: ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১২) প্রাণশক্তি বাড়ায়: আয়রন ও ফোলেট শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি কমায়।
১৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: পটাসিয়াম সমৃদ্ধ পুঁইশাক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
১৪) অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে: আয়রনের উচ্চমাত্রা রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
১৫) কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: এতে থাকা ফাইবার সহজেই হজম হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
১৬) হজমে সহায়ক: পুঁইশাক হজমের প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
১৭) হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে: কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৮) বার্ধক্য প্রতিরোধ করে: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বার্ধক্যজনিত চিহ্ন দূর করতে সহায়ক।
১৯) ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে: পুঁইশাক ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২০) চোখের জন্য ভালো: এতে থাকা ভিটামিন এ ও ক্যারোটিনয়েড চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
২১) প্রাকৃতিক ডিটক্স: শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়ক।
২২) রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বাড়ায়: বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
২৩) মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে: ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিনগুলি মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখে।
২৪) ফ্লু এবং সর্দি প্রতিরোধ করে: ভিটামিন সি শরীরে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
২৫) চুল পড়া প্রতিরোধ করে: পুষ্টির অভাব পূরণ করে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
২৬) কিডনি ও লিভারের সুরক্ষা: পুঁইশাক কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।
২৭) রক্ত পরিশোধনে সহায়ক: শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সহায়ক।
২৮) গর্ভবতী নারীদের জন্য ভালো: এতে থাকা ফোলেট ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়ক।
২৯) স্ট্রেস ও মানসিক চাপ কমায়: মানসিক চাপ কমাতে ম্যাগনেসিয়াম সহায়ক।
৩০) ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধ করে: এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পুষ্টিগুণ:
পুঁইশাক ভিটামিন, মিনারেল, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। প্রতিটি ১০০ গ্রাম পুঁইশাকে নিম্নলিখিত পুষ্টিগুণ রয়েছে:
শক্তি: ১৯ ক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট: ৩.৪ গ্রাম
প্রোটিন: ২ গ্রাম
ফ্যাট: ০.৩ গ্রাম
ফাইবার: ২.২ গ্রাম
ভিটামিন এ: ৬,২০০ IU (আন্তর্জাতিক একক)
ভিটামিন সি: ৫৫ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম: ১১০ মিলিগ্রাম
আয়রন: ১.৭ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম: ৮০ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম: ৩৪০ মিলিগ্রাম
ফোলেট: ১৪০ মাইক্রোগ্রাম
পুঁইশাকের নিয়মিত সেবন স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত কার্যকরী এবং পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সহায়ক।
0 Comments