কিরনের হাসির রাজ্য: সুখপুরের রাজা ও হাসিখুশি কুকুরের রূপকথার গল্প!

 

রূপকথার রাজা রানীর গল্প:

Fairy tale


একবার, এক দূরের গ্রামে, একটি ছোট্ট রাজ্য ছিল যার নাম ছিল সুখপুর। সুখপুরের রাজা ছিলেন অত্যন্ত ধনী ও শক্তিশালী, কিন্তু তিনি ছিলেন খুবই অলস। তিনি নিজের কাজকর্ম করতে একেবারেই আগ্রহী ছিলেন না। তার একমাত্র কাজ ছিল বসে বসে নিজের রাজ্যের সুন্দরীদের প্রশংসা করা।

রাজ্যের সব সুন্দরীরা তাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য নানা কসরত করত, কিন্তু রাজা সবসময়ই বিরক্ত থাকতেন। তিনি এতই বিরক্ত ছিলেন যে একদিন তিনি ঘোষণা করে দিলেন, যে সুন্দরী আমার মনে আনন্দ দিতে পারবে, সে হবে রাজ্যর প্রধান সুন্দরী এবং তাকে আমার সঙ্গে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হবে।

গ্রামে একদিন একটি নতুন সুন্দরী এলেন, তার নাম ছিল কিরণ। কিরণ ছিল একেবারে সাধারণ গ্রামের মেয়ে, কিন্তু তার মিষ্টি হাসি ও সৃজনশীলতা ছিল অসাধারণ। কিরণ রাজ্যে এসে শুনল রাজ্যের এই নতুন ঘোষণা। সে মনে মনে ঠিক করল, সে রাজাকে আনন্দ দিতে পারবে। কিন্তু কিরণের হাতে ছিল একটি রহস্যময় ক্ষমতা – সে ছিল বিশেষ ধরনের একটি কুকুরের মালিক, যাদের নাম ছিল হাসিখুশি কুকুর।

হাসিখুশি কুকুররা ছিল অদ্ভুত, তারা যে কোনো মজার দৃশ্য বা হাস্যকর ব্যাপার তৈরি করতে পারত। কিরণ তাদের সাহায্যে রাজাকে আনন্দ দেওয়ার জন্য এক পরিকল্পনা করল। সে রাজ্যের সভাস্থলে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করল, যেখানে সব সুন্দরীরা হাজির ছিল। কিরণ রাজাকে নানান হাস্যকর দৃশ্য দেখানোর জন্য তার হাসিখুশি কুকুরগুলোকে নিয়ে এসেছিল। প্রথমে কিরণ একটি কুকুরকে বলল যে সে রাজাকে একটি গল্প শুনাবে। কুকুরটি একটি মজার গল্প বলল, যা রাজা এতই হাসি পেল যে তার চেহারা লাল হয়ে গেল। তারপর কিরণ কুকুরদের একটি খেলা দেখাল, যেখানে কুকুরেরা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে খুবই হাস্যকর নাচ করছিল। রাজা এতই মজা পেলেন যে তিনি হাসতে হাসতে কেঁদে ফেললেন।

অনুষ্ঠান শেষে রাজা কিরণকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করলেন। কিন্তু কিরণ তাকে একটি বিশেষ প্রস্তাব দিল – মহামান্য রাজা, আমি আপনার সঙ্গে বিশেষ পুরস্কার চাই না। আমি চাই, আপনি রাজ্যের সকলকে হাসির মাধ্যমেও আনন্দিত করুন। হাসি এবং আনন্দ রাজ্যের সুখের মূল চাবিকাঠি। রাজা একমত হলেন এবং কিরণকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন যে তিনি তার শাসনকালে আনন্দ ও হাসির গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।

রাজ্যের মানুষ কিরণের উদ্ভাবনী ভাবনার প্রশংসা করতে শুরু করল এবং রাজা হাসি ও আনন্দের গুরুত্ব বোঝার পর সুখপুরের রাজ্য সত্যিই সুখী হয়ে উঠল। রাজ্যের মানুষ হাসি ও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল, এবং রাজা তার নতুন ভাবনা অনুযায়ী রাজ্য শাসন করতে লাগলেন।

কিরণ এবং হাসিখুশি কুকুররা সুখপুরের এক বিশেষ অংশে বাস করতে লাগল এবং তাদের সাহায্যে রাজ্যটির মনোরম ও আনন্দময় পরিবেশ বজায় রইল। আর রাজা তো ছিলেন কিরণের কাছ থেকে শেখা জীবনের অমূল্য পাঠের জন্য ধন্য।

এইভাবে সুখপুর রাজ্য হাসি এবং আনন্দের মাধ্যমে এক সুখী জীবন যাপন করতে শুরু করল, আর কিরণ তার নিজস্ব দক্ষতার জন্য সকলের মনে চিরকাল স্থান করে নিল।

এরকম বিষয়ে আরোও জানতে এই ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন নিয়মিত নতুন নতুন বিষয় আপডেট হয়। এছাড়া এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট রয়েছে যেমন: বিভিন্ন বস্তুর আবিষ্কার ঐতিহাসিক স্থানসমূহ, ছোটদের মজার রূপকথার গল্প, সাফল্য নিয়ে বিখ্যাত মনীষীদের উক্তি এবং স্ট্যাটাস, বিখ্যাত মনীষীদের সাফল্য জীবনকাহিনী, মজার মজার জোকস ও কৌতুক, ভূতের গল্প, শিক্ষনীয় গল্প, প্রেমের কাহিনী, কাব্য উপন্যাস,শরীর সুস্থ রাখার গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তারদের টিপস, ইসলামিক হাদিস , ইসলামের ইতিহাস ইত্যাদি। এই ওয়েবসাইটের লিংক https://www.mahadistoryworld.com/

Post a Comment

0 Comments