ডালিম খাওয়ার উপকারিতা
ডালিম (Pomegranate) একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ফল। নিচে ডালিম খাওয়ার ২৫টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হলো:
পুষ্টিগুণ:
ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডালিমে প্রায়:
*ক্যালোরি: ৮৩ কিলোক্যালোরি
*প্রোটিন: ১.৬৭ গ্রাম
*কার্বোহাইড্রেট: ১৮.৭ গ্রাম
*ডায়েটারি ফাইবার: ৪ গ্রাম
*চর্বি: ১.১৭ গ্রাম
*ভিটামিন সি: ১৭% (দৈনিক প্রয়োজনের
*ভিটামিন কে: ১৬%
*ফোলেট: ১০%
*পটাসিয়াম: ২৩৬ মিলিগ্রাম
*পলিফেনলস, বিশেষ করে পিউনিকালাজিন এবং অ্যান্থোসায়ানিনস থাকে, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
ডালিম খাওয়ার ২৫টি উপকারিতা:
১) অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উত্স: ডালিমে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যালস থেকে রক্ষা করে।
২) হৃদরোগ প্রতিরোধ: এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩) রক্ত সঞ্চালন উন্নতি: ডালিম রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে এবং শিরাগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৪) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব: ডালিমে থাকা উপাদানসমূহ প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
৫) ক্যান্সার প্রতিরোধ: এতে থাকা পলিফেনলস ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধির ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক।
৬) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি: নিয়মিত ডালিম খাওয়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়ক।
৭) রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহায়ক কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৮) হজম শক্তি বৃদ্ধি: ডালিমের ফাইবার হজমের সমস্যা দূর করে এবং পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে।
৯) ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নয়ন: এর ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখে।
১০) ওজন নিয়ন্ত্রণ: ডালিম খেলে ক্ষুধা কমে, ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক।
১১) ইমিউন সিস্টেম মজবুত করে: ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১২) পেশী শক্তি বৃদ্ধি: এতে থাকা প্রোটিন পেশী গঠনে সহায়ক।
কিওয়ার্ড: ডালিম খাওয়ার উপকারিতা
১৩) দৃষ্টিশক্তি উন্নতি: ডালিমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
১৪) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডালিম খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক।
১৫) শরীরের ডিটক্সিফিকেশন: ডালিম শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সহায়ক।
১৬) মানসিক চাপ কমায়: ডালিম খেলে মানসিক চাপ কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
১৭) হাড়ের গঠন মজবুত করে: ডালিমে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন ও শক্তি বৃদ্ধি করে।
১৮) আয়রনের উত্স: এটি আয়রনের সমৃদ্ধ উৎস যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
১৯) মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা: ডালিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২০) চুলের গুণগত মান উন্নতি: ডালিম খেলে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২১) সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে সহায়ক: এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণাবলী ঠান্ডা-কাশির প্রতিরোধে সহায়ক।
২২) বাত প্রতিরোধ: এর প্রদাহনাশক বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কমায়।
২৩) অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি: এটি রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
২৪) ব্রেইন স্ট্রোক প্রতিরোধ: ডালিম খেলে ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
২৫) বয়সের প্রভাব কমায়: এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বয়সজনিত সমস্যা কমাতে সহায়ক।
0 Comments