Health Benefits of Pineapple
আনারস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল, যা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সুবিধা প্রদান করে। আনারস খাওয়ার ৩০টি উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগুণ নিচে দেওয়া হলো:
আনারসের পুষ্টিগুণ:
প্রতি ১০০ গ্রাম আনারসে নিম্নলিখিত পুষ্টি উপাদান থাকে:
ক্যালরি: ৫০ ক্যালরি
কার্বোহাইড্রেট: ১৩.১২ গ্রাম
প্রোটিন: ০.৫৪ গ্রাম
ফ্যাট: ০.১২ গ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার: ১.৪ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৪৭.৮ মিলিগ্রাম (প্রতিদিনের চাহিদার ৭৯%)
ভিটামিন এ: ৩ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম: ১৩ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম: ১০৯ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম: ১২ মিলিগ্রাম
আনারস খাওয়ার ৩০টি উপকারিতা:
১) ইমিউনিটি বৃদ্ধি: আনারসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২) হজমে সাহায্য করে: এতে থাকা ব্রোমেলাইন এনজাইম হজমশক্তি উন্নত করে।
৩) অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ: আনারসের ব্রোমেলাইন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৪) ওজন কমাতে সহায়ক: কম ক্যালরির ফলে এটি ওজন কমাতে সহায়ক।
৫) ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়: ভিটামিন সি ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে।
৬) ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক: আনারসে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যাল দূর করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে।
৭) হাড় মজবুত করে: এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৯) কোলেস্টেরল কমায়: আনারসে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১০) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ব্রোমেলাইন হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে।
১১) অ্যান্টি-এজিং: আনারস ত্বকের বলিরেখা কমায় এবং বয়সের ছাপ দূর করে।
১২) আয়রন শোষণ: ভিটামিন সি আয়রন শোষণে সহায়ক।
১৩) রক্তের ক্ষতিকর চর্বি কমায়: আনারস রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড এবং এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়।
১৪) হজমের সমস্যা দূর: এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
১৫) প্রস্রাবের সমস্যায় উপকারী: আনারস প্রস্রাবের মাধ্যমে টক্সিন দূর করতে সহায়ক।
১৬) পানিশূন্যতা প্রতিরোধ: আনারসের জলীয় অংশ শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করতে সহায়তা করে।
১৭) শক্তি যোগায়: এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরকে দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
১৮) অ্যাজমার লক্ষণ কমায়: আনারসের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ অ্যাজমা কমাতে সহায়ক।
১৯) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: আনারস ফাইবার সমৃদ্ধ, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
২০) অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ: আনারস আয়রনের শোষণ বৃদ্ধি করে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়ক।
২১) মেজাজ উন্নত করে: আনারসের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমায় এবং মেজাজ উন্নত করে।
২২) চোখের দৃষ্টি রক্ষা করে: এতে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
২৩) অতিরিক্ত গরমে সহায়ক: আনারসের পানির পরিমাণ শরীর ঠান্ডা রাখে।
২৪) ক্ষুধামন্দা দূর: আনারস ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
২৫) মাইগ্রেন প্রতিরোধ: আনারসে থাকা ব্রোমেলাইন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমাতে সহায়ক।
২৬) পেশির ব্যথা কমায়: আনারসের প্রদাহনাশক গুণ পেশির ব্যথা কমায়।
২৭) রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ: ব্রোমেলাইন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে পারে।
২৮) দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: আনারসের ভিটামিন সি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
২৯) শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়ক: আনারস শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করতে পারে।
৩০) পরিপাকতন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত: আনারসের ফাইবার পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।
এই সব পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতার জন্য আনারসকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা অত্যন্ত উপকারী।
0 Comments