আব্রাহাম লিংকন তার ছেলের জন্য দুনিয়াকে কি বলেছিলেন?

আব্রাহাম লিংকন যখন তিনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান। তখন তিনি পৃথিবীকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটি কথা বলেন।

 আব্রাহাম লিংকন যখন তিনার সন্তানকে স্কুলে পাঠান। তখন তিনি পৃথিবীকে উদ্দেশ্য করে কয়েকটি কথা বলেন। একটি বার হলেও এই মূল্যবান কথাগুলো জেনে যান, এই বক্তব্যগুলো আপনার মনোভাব ও চিন্তাকে পরিবর্তন করে দিবে। সাফল্য পাওয়ার জন্য এই কথাগুলোতে অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে। চলুন সেই মূল্যবান বক্তব্যগুলো নিচে থেকে জেনে আসি:

আব্রাহাম লিংকন যখন তিনার সন্তানকে প্রথমে স্কুল পাঠান! যখন তিনি পৃথিবীকে বলেন, এই পৃথিবী আমার সন্তানের হাত ধরো, সে আজ প্রথম স্কুলে যাত্রা শুরু করল। তাকে দেখে রেখো এতদিন সে বাসার চৌহদ্দির মধ্যে কাটিয়েছে। তাকে সবসময় চলতে ফিরতে আমি সাহায্য করেছি। কিন্তু এখন সে পরিস্থিতি অন্যরকম দেখতে পাবে।

 সে সাফল্যের অভিযানে যাত্রা শুরু করল। এ সময় তাকে অনেক যুদ্ধ, কষ্ট, দুঃখের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। হে পৃথিবী আমার সন্তানকে জানিয়ে দিও যে পৃথিবীতে বাঁচতে হলে বিশ্বাস , সাহস এবং অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন। তাকে শিখিয়ে দিও ,সব নারী-পুরুষই  সৎ নয়। শিখিয়ে দিও, যে ব্যক্তির স্বভাব যেরকম তার সাথে সেরকম ব্যবহার করতে হবে।

ওকে শিখিয়ে দিও, অসৎ উপায় অবলম্বন করার চেয়ে অসফল হওয়া অনেক সম্মানজনক। আমার সন্তানকে শিক্ষা দিও যে ,সে যেন কোন ব্যক্তির সাহায্য না চায়, নিজে যা সঠিক মনে করে সে যেন তাই নিয়ে লড়াই করতে পারে। আমার সন্তানকে শিখিয়ে দিও দুনিয়াতে বেঁচে থাকলে হলে লড়াই করা শিখতে হবে। ওকে শিখিয়ে দিও, অনেক দুঃখ কষ্টকে তিতিক্ষা করে সে যেন সাফল্য বয়ে আনে। ওকে বেশি পশ্রয় বা সুখ দিওনা। ওকে সব সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলিও। কারণ আগুনের মধ্য দিয়ে গেলেই উত্তম ইস্পাত তৈরি হয়।

এ পৃথিবী আমার সন্তানকে শিখিয়ে দিও যে সে যেন নিজেকে গরিব মনে করে। গরিবের মতো চলাচল করে।তাকে শিক্ষা দিও পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিটা মুহূর্তে অনেক বাঁধার সাথে যুদ্ধ করতে হবে।

হে পৃথিবী ওকে জানিয়ে দিও, সে যেন ভাগ্যের উপর নির্ভর না করে এবং সাফল্য ছিনিয়ে আনার জন্য যেন আপ্রাণ চেষ্টা করে।

এরকম আরো বিশেষ বিষয় সম্পর্কে জানতে এই ওয়েবসাইটটির সঙ্গেই থাকুন। এখানে নিয়মিত নতুন নতুন পোস্ট আপডেট হয়।  সাফল্যের বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে, এই ওয়েবসাইটে গিয়ে  থ্রিডট মেনুতে ক্লিক করবেন। ওয়েবসাইটের লিঙ্ক https://www.mahadistoryworld.com/

Post a Comment